সিভি লেখার প্রশিক্ষণ নিন ও আকর্ষনীয় ৩টি ডিজাইন ফ্রি ডাউনলোড করে নিন।
প্রফেশনাল সিভি তৈরি করুন এক্সপার্ট রাইটারের মাধ্যমে
আমাদের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় সকল পেশার এবং সব দেশের জন্য সিভি তৈরি করি। চাকরি বা পড়াশোনা যে কোন প্রয়োজনে সিভি তৈরি করতে আমাদের সাহায্য নিন। একটি প্রফেশনাল/স্টান্ডার্ড সিভি চাকরী ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
প্রফেশনাল সিভি রাইটিং টিপস
সিভি (CV) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Curriculum Vitae. আসলে সিভি হচ্ছে ২/৩ পাতার একটি সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত যেখানে একজন লোকের নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার মূল অংশসহ আরো কিছু আনুষাঙ্গিক বিষয় উল্লেখ থাকে। তবে চাকরির ইন্টারভিউ এর পাশাপাশি একাডেমিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও সিভি’র এর ব্যবহার রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিভি ইংরেজিতে লেখা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় লেখা হচ্ছে।
Resume কি?
সিভি এবং রিজুউম প্রায় এক জিনিস। যদিও দুটি জিনিস এক ধরনের কাজে বা একই অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে তবুও এই দুটির গঠনগত দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা আছে। সাধারণত সিভি ২-৩ পাতার হয় কিন্তু রিজুউম সবসময় এক পাতায় হয়ে থাকে। তাছাড়া সিভিতে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা বা বর্ণনা দেওয়া হয় কিন্তু রিজুউমে সকল তথ্য খুব সংক্ষেপে লেখা হয়।
সিভি (CV) ও Resume এর মধ্যে পার্থক্য কি?
সিভি (CV) ও Resume এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে সিভিতে একজন ব্যক্তির জীবন বৃত্তান্ত কিছুটা বিষদভাবে বর্ণনা করা হয় কিন্তু Resume এ একজন ব্যক্তির দক্ষতা ও অভীজ্ঞতা সহ অন্যান্য বৃত্তান্ত খবুই ক্ষুদ্র পরিষরে লেখা হয়। তাছাড়া Resume এ ডিজাইন অনেকটা এ্যাডভান্স লেভেলের হয়ে থাকে কিন্তু সিভি লেখার ক্ষেত্রে ডিজাইনের চাইতে ইনফরমেশনকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে আমাদের দেশে অধিকাংশ চাকরি বাকরির ক্ষেত্রে সিভি (CV) ও Resume একই অর্থে ব্যবহার হয়।
সিভিতে কী কী বিষয় উল্লেখ করবেন?
কাজের ধরণ অনুসারে সিভিতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংযোজন করা প্রয়োজন। আসলে এটা পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনি কি কাজের জন্য বা কিসের জন্য সিভি লিখছেন। কাজের ধরণ অনুসারে সিভি একটু ভিন্ন হলেও অধিকাংশ সিভি’র কিছু বেসিক ইনফরমেশন থাকে যেগুলো সব ধরনের সিভিতে এক ধরনের হয়। সিভিতে কী ধরনের তথ্য উল্লেখ করবেন সেটা সিভি লেখার পূর্বে ঠিক করে নিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে অযথা সিভি বড় করা উঠিত নয়। কারণ সিভিতে যত সংক্ষেপে আপনার ইনফরমেশন তুলে ধরে মূল বিষয় বুঝাতে পারবেন আপনার সিভি তত স্মার্ট হবে এবং সহজে চাকরিদাতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।
নিচে আমরা কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করছি যেগুলো সাধারণত সব ধরনের সিভিতে উল্লেখ করতে হয়।
নাম ও ঠিকানাঃ
সিভির প্রথম অংশে আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেট এর নামানুসারে পুরো নাম লিখতে হবে। এখানে আপনার ইচ্ছামত ডাকনাম বা ছদ্মনাম লিখবেন না। বেশি পান্ডিত্য দেখানোর জন্য নামের পূর্বে মিস্টার বা মিসেস ব্যবহার করতে যাবেন না।
আপনার ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সংক্ষেপে স্পষ্ট করে লিখবেন যাতে সেই ঠিকানায় চিঠি পাঠালে সহজে আপনার হাতে পৌছায়। এ ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের নাম ও কোড নং যাচাই করে লিখবেন। বর্তমানে যেহেতু তথ্য প্রযুক্তির যুগ সেহেতু যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস ঠিকানার সাথে যুক্ত করে দিতে পারেন। নাম ও ঠিকানা হিসেবে নিচের তথ্যগুলো যুক্ত করে নিবেন।
• নিজের নার (সার্টিফিকেট অনুসারে)।
• মোবাইল নাম্বার অথবা ফোন নাম্বার (যেকোন একটি)।
• ইমেইল এড্রেস ([email protected] Not [email protected])।
• পূর্ণ ঠিকানা (পোস্ট অফিস এর ঠিকানা গুরুত্বপূর্ণ)।
• ফেসবুক প্রোফাইল (As you want)।
সারাংশ (Objective):
আপনি যে পদে চাকরির জন্য আবেদন করছেন সেই পদে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হলে আপনি কিভাবে নিজের কাজ এবং দায়িত্ব পালন করবেন, এখানে সেটা সংক্ষেপে লিখে দিবেন। সিভি এর এই অংশকে ‘Personal Statement’ বা ‘Objective’ বলা হয়। এক কথায় আপনাকে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হলে আপনি কিভাবে সেই দায়িত্ব পালন করবেন বা অফিস হ্যান্ডেল করবেন ইত্যাদি বিষয়ে ৩/৪ লাইনে সংক্ষেপে লিখে দিবেন।
পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতাঃ
আপনি যে ধরনের চাকরির জন্য আবেদন করবেন সেই ধরনের কাজের বিষয়ে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে কি না কিংবা পূর্বে সেই ধরনের কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন কি না এই অংশে সেই বিষয়ে লিখবেন। যে পদের চাকরির জন্য সিভি তৈরি করছেন সেই সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটি সিভির সাথে যুক্ত করে দিতে পারেন। নিচের বিষয়গুলো কাজের অভিজ্ঞতা হিসেবে উল্লেখ করলে সিভি অধিক স্মার্ট হবে।
• প্রতিষ্ঠানের নাম।
• চাকরিকালীন পদবী।
• কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
• Job Responsibility.
• Special Achievement.
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
যেকোনো কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য স্কুল থেকে আজ অবধি যত ধরনের একাডেমিক সার্টিফিকেট আছে সবগুলোর তথ্য পরিষ্কারভাবে লিখে দিবেন। আপনি কোন স্কুল বা কলেজে পড়েছেন, কি কি ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং প্রত্যেকটি পরীক্ষায় কোন গ্রেড বা বিভাগ (মার্ক) পেয়েছেন সেই সব তথ্য সংযোজন করে দিতে হবে।
তাছাড়া যাদের কোন বিষয়ে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করার অভীজ্ঞতা আছে তারা অবশ্যই সেটি সিভিতে লিখে দেবেন। কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিলে এবং সেটির কোন সনদ থাকলে তার সংক্ষিপ্ত তথ্য যুক্ত করে দিতে পারেন। নিচের বিষয়গুলো শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে উল্লেখ করতে পারেন।
• প্রশিক্ষণের বিষয়ে যেকোন অভিজ্ঞতা।
• যেকোন গ্রাজুয়েশন (এসএসসি, এইচএসসি, বিবিএ, এমবিএ)।
• কোর্সের সময়কাল (কত থেকে কত)।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও শিক্ষা বোর্ড।
• পরীক্ষার সন ও রিজাল্ট পাবলিশ হওয়ার সন।
• একাডেমিক বিষয়ে অন্য কোন শিক্ষা সনদ।
ভাষাগত দক্ষতাঃ
সাধারণত আমাদের দেশে চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি জানাটা বাধ্যতামূলক। ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সংক্রান্ত পরীক্ষা—যেমন আইইএলটিএস বা টোয়েফলে অংশ নিলে তার স্কোর লিখে দেবেন। এছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানা থাকলে গুরুত্ব বিবেচনায় সেটিও উল্লেখ করে দিতে পারেন।
কম্পিউটার-দক্ষতাঃ
বর্তমানে অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিউটার জানা বাধ্যতামূলক। প্রায় সব ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিউটার বিষয়ে বেসিক ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট সহ কম্পিউটার বিষয়ে বেসিক জ্ঞান থাকতে হয়। সে জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্টের কাজ জানা থাকলে তা অবশ্যই সিভিতে উল্লখ করবেন। এছাড়া কম্পিউটার বিষয়ে অন্যকোন অভীজ্ঞতা থাকলে সেটিও অবশ্যই উল্লেখ করে দিবেন। আপনার চাকরির আবেদনটি কোন কম্পিউটার বা আইটি কোম্পানির হলে এই অংশে কম্পিউটার বিষয়ক সকল তথ্য অল্প শব্দে বিস্তারিত উল্লেখ করে দিবেন। কম্পিউটার দক্ষতা হিসেবে নিচের পয়েন্টগুলো উল্লেখ করতে পারেন।
• Report Writing & Editing.
• Phone, Email & Face to Face Communication.
• MS Office Application Proficient.
• Data Entry Proficient.
• Any other Computer Experience.
রেফারেন্সঃ
আপনি সম্প্রতি যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় হতে লেখা পড়া শেষ করেছেন সেই কলেজের শিক্ষকরা ভালো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করেন। কারণ সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আপনাকে ভালোভাবে চিনে এবং জানে। সে জন্য শেষ প্রতিষ্ঠানের যেকোন একজন ভালো শিক্ষককে জানিয়ে তাঁর নাম ও পদবি ব্যবহার করুন। কোন কোন ক্ষেত্রে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে রেফারেন্সে যাঁর নাম থাকে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে যে শিক্ষকের নাম সিভিতে উল্লেখ করবেন তাকে অবশ্যই বিষয়টি আগে থেকে অবগত করে রাখবেন।
স্বাক্ষর ও তারিখঃ
উপরের সবগুলো ধাপ ঠিকমত ফিলআপ করলে আপনার একটি পরিপূর্ণ সিভি রেডি হয়ে যাবে।সবশেষে নিজের নামের ওপরে একটি Signature (স্বাক্ষর) করে তারিখ বসিয়ে দিলেই আপনার সিভি লেখা কমপ্লিট হবে।
Contact us:
CV Writer BD – সিভি রাইটার বিডি (DBID Registered Service Provider)
WhatsApp: 01636834123 & 01710412565
Email: [email protected] & [email protected]
Payment Method:
You can pay by Bkash, Rocket, Nagad or Direct Bank Transfer. To confirm order, we take full advance payment. No worries about payment. We are Govt. Registered Service provider. Your all data and payment will be safe.
Service Time: For regular order we take 2-5 days to complete a task. For urgent order we can delivery any service within 24 hours (urgent service charge applicable.)
Design 01 Download Here
Design 02 Download Here
Design 03 Download Here